মোঃ শাহ্ আলম, চকরিয়া:
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ইয়াবা সম্রাট নতুন কায়দায় ইয়াবা পাচারকালে ৫শ পিচ ইয়াবা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর রাত ১১টা ৩০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড ভাটিয়ালী ইউনিয়নের শহীদ মিনারের পাশে গাড়ি তল্লাশিকলে পুলিশের হাতে আটক হলেন ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডুলাহাজারার এ ইয়াবা সম্রাট এবার নিজেই ইয়াবা চালান নিয়ে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড ভাটিয়ালী ইউনিয়নের শহীদ মিনারের পাশে গাড়ি তল্লাশি কালে ডুলাহাজারার ৫নং ওয়ার্ডের আলী আহামদের পুত্র চকরিয়া উপজেলার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী এবং ইয়াবা সম্রাট হিসেবে পরিচিত, যার নাম এবার সেই ইয়াবা সম্রাট মোঃ ইসহাক আহামদ সহ তার সঙ্গীয় বন্ধু তমিজুর রহমানকে আটক করেন সীতাকুন্ড থানার পুলিশ। আরো জানা যায়, ইয়াবা সম্রাট মোঃ ইসহাক প্রতি মাসেই ৩/৪ বার করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তার বিশ্বস্ত সিন্ডিকেটের লোক দিয়ে ইয়াবা পাচার করলেও এবার সে নিজে গেলেন। ইয়াবা সম্রাটের পিতা আলী আহামদ এলাকার দিন মজুর আলী আহামদ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে আলী আহামদের ২ পুত্র ইসহাক আহামদ ও ইদ্রিস আহামদ কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল জুনে চাকুরীর সুবাদে আজ কোটি-কোটি টাকা ও বিলাশবহুল ঘরের মালিক হয়েযান।

এলাকাবাসী জানান, এই ইয়াবা সম্রাট পূর্বেও বহুবার ইয়াবা পাচারের সময় প্রশাসনের হাতে আটক হলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড় পেয়ে যায়। ফলে তাদের মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে ইয়াবা স¤্রাট ইসহাক ও ইদ্রীস এর আনিত ইয়াবাগুলি তাহার নিকটতম আত্মিয়স্বজনের বাড়িতে মজুদ রেখে তার পিতা আলী আহামদও মাতা-ফরিদা বেগম এলাকার বিভিন্ন সহজ-সরল লোকজনকে দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় ইয়াবা বিক্রি করে।

জানা যায় যে, কক্সবাজার শহর থেকে বর্তমানে এই ইয়াবা সম্রাটের দিনমজুর পিতা-মাতা নিজেই গিয়ে টিপিন বক্স তরি-তরকারী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রী মধ্য দিয়ে অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচার করে আসছে। বর্তমানে এলাকার যুব পরিবেশকে কলুষিত করে যুব সমাজ ও ছাত্রদের জীবন ধ্বংসের দিকে টেলে দিচ্ছে। এমনকি এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা তাদের এ অপরাধ জনিত ব্যবসা বন্ধ করে বিকল্প কোন কর্ম বা ব্যবসা করার পরামর্শ দিতে গিয়ে উল্টো তাদেরকেও নাজেহাল করেছে বলে জানা যায়।

মুটোফোনে সীতাকুন্ড থানার এস.আই ইস্তেখার হাসান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ২৮ নভেম্বর রাত ১১টা ৩০মিনিটের সময় ভাটিয়ালী ইউনিয়নের শহীদ মিনারে পাশে গাড়ি তল্লাশি কালে তাদের শরীরে ভেতরে ৫০০ পিছ ইয়াবা পাওয়া যায়। ফলে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এছাড়া গত ২৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় তাদেকরে মাদক দ্রব্য আইনের আওতায় এনে জি.আর মামলা নং ৩৬/১৭ইং দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করি। বর্তমানে তারা জেল-হাজতে রয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে দিন মজুর আলী আহামদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার ছেলে পুলিশের হাতে ধরা খেয়েছে এতে কি হয়েছে? কালকে চলে আসবে।